• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

মানিকগঞ্জে চরাঞ্চলে জনগণের আস্থায় সাবেক এমপি আনোয়ার

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০৭ নভেম্বর ২০২৩

এস.এম.নুরুজ্জামান,মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি :

ঘিওর দৌলতপুর শিবালয় (মানিকগঞ্জ ১ আসন) ১৯৭৫ পরবর্তী দীর্ঘ ৩৩ বছর পর নবম জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনে বিএনপির সাবেক মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেনকে বিপুল ভোটে পরাজয় করে এমপি নির্বাচিত হন এবিএম আনোয়ারুল হক। ৫ বছরের উন্নয়ন আর জনপ্রিয়তায় ক্লিন ইমেজ হিসেবে ব্যাপক সুনাম রয়েছে ওই আসনের চরাঞ্চালের জনগণের কাছে। বিশাল এই চরাঞ্চালের জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে সাবেক এমপি বীরমুক্তিযোদ্ধা এবিএম আনোয়ারুল হকের।

জানাগেছে, ২০০৮ সালে প্রথম সংসদ সদস্য  হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আনোয়ারুল হক ঘিওর দৌলতপুর শিবালয়ে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ  পাকা সড়ক নির্মিত হয়েছে ১১০ কি:মি: পাকা সড়ক মেরামত হয়েছে ১০০ কি:মি: কাচা সড়ক নির্মিত হয়েছে ৭০০ কি:মি:  কাচা সড়ক মেরামত হয়েছে ১৮০০ কি:মি: প্রাথমিক বিদ্যালয়,উচ্চ বিদ্যালয়,মাদ্রাসা ভবন ও কলেজ ভবন নির্মিত হয়েছে ৮১ টি। ডাকবাংলো ২ টি এবং ইউনিয়ন পরিষদ ভবন ৩ টি ও থানা ভবন ১ টি,  কমিউনিটি সেন্টার ১ টি এছাড়া  হাসপাতাল ভবন নির্মিত হয়েছে ৩ টি এবং ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালকে ৫০ শয্যায় উন্নতি করা হয়েছে ২ টি ও  শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে ১ টি,  ফ্লাড শেল্টার কাম বিদ্যালয় ভবন নির্মান করা হয়েছিল ২টি(প্রক্রিয়াধীন ছিল ৩ টি) নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছিল ১৫২ কি:মি:  নতুন গ্রাহক সংযুক্ত হয়েছিল ১২০০০,  সেতু - কালভার্ট নির্মিত হয়েছিল ৫১ টি, নদীভাংগন প্রতিরোধ, নদী ড্রেজিং বাবদ ব্যয় হয়েছিল ১৪ কোটি টাকা।   জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডের মাধ্যমে ইছামতি নদী খনন করা হয়েছিল ৪ কোটি টাকার।  এছাড়া বিদ্যালয় বিহীন গ্রামে নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছিল ৯ টি।মসজিদ, মন্দির,মাদ্রাসা,ঈদ গা মাঠ,কবরস্থান, বিভিন্ন ক্লাব(রেজি:যুক্ত) ইত্যাদি অসংখ্য উন্নয়ন ও মেরামত করা হয়েছে। ওই সময়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া কমিউনিট ক্লিনিক   পুনরায় চালু করা হয়।

তিনি ছাত্র জীবনে রাজবাড়ী কলেজ থেকে ছাত্র পরিষদে ছাত্রলীগের প্যানেল হতে ১৯৬৪ সালে সমাজ কল্যাণ সম্পাদক এবং  আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে পুলিশি নির্যাতনে গ্রেপ্তার হন তিনি। এছাড়া ফরিদপুর পলিটেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট ছাত্র সংসদে ছাত্রলীগ প্যানেল হতে নির্বাচিত ক্রীড়া সম্পাদক এবং ১৯৬৬ সালে ৬ দফা আন্দোলনে সক্রিয় ভুমিকা রাখেন এবিএম আনোয়ারুল হক। সততা আর নিষ্ঠার সাথে ১৯৯৭ সালে বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা পরিষদ (আইডিইবি) সংগঠনের সহ সভাপতির জননেত্রী শেখ হাসিনার অভ্যর্থনায় সুন্দরভাবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা হিসেবে দলীয় কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

 ঘিওর উপজেলার সিংজরি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ বলেন, আমার বয়সে কয়েকজন এমপি দেখেছি এদের মধ্যে সাবেক এমপি সিদ্দিকুর রহমান ছিলেন সবচাইতে ভালো। এরপর আরেকজন এমপি পেয়েছিলাম ২০০৮ সালে ইঞ্জিনিয়ার  এবিএম আনোয়ারুল হককে। এই লোকটি খুবই সহজ সরল মানুষ। এমপি হিসেবে তারমধ্যে কোন অহংকার দেখি নাই। তার আমলে  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোন নিয়োগ বানিজ্য হয়নি। আমার সিংজুরি ইউনিয়নে ওনি অসংখ্য মসজিদ, কবরস্থান, ঈদগাহ মাঠ নির্মাণ করেছেন। তিনি এমপি হিসেবে সকল পেশাজীবি মানুষের কাছে ছিলেন সমানভাবে জনপ্রিয়। আমি জানি না দল কাকে মনোনয়ন  দিবে? তবে আনোয়ারুল হককে মনোনয়ন তিনি নির্বাচিত হবেন। বর্তমানে এই আসনে দুজন এমপি প্রার্থী জনগণের কাছে জনপ্রিয়তা রয়েছে। সাবেক এমপি আনোয়ারুল হক এবং এস এম জাহিদ। এরা দুজনই কর্মীবান্ধব এবং সাধারণ জনগণের আস্থারস্থল।

 

দৌলতপুর উপজেলার চকমিরপুর ইউনিয়নের মোঃ নিজাম উদ্দিন বলেন, আমার চোঁখে দেখা এমপি হিসেবে আনোয়ারুল হক ছিলেন একজন সৎ এবং নিষ্ঠাবান সহজ সরল। তিনি বিএনপির সাবেক মহাসচিব দেলোয়ার মিয়াকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে প্রায় ৩৫ বছর পর আওয়ামী লীগের এমপি নির্বাচিত হন। তিনি ৫ বছরে ৩টি উপজেলায় সমানভাবে ব্যাপক উন্নয়ন করেছিল। তিনি দৌলতপুরের চরাঞ্চলের মানুষের কাছে প্রিয় ব্যক্তি। যদি দল উনাকে মনোনয়ন দেন তাহলে দৌলতপুর উপজেলার সকল জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে উনার পাশে থেকে পুনরায় এমপি নির্বাচিত করবেন।

 

এবিষয়ে মানিকগঞ্জ ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা এবিএম আনোয়ারুল হক বলেন, আমি ছাত্র জীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছি। আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে কারাভোগ করেছি। এবং ১৯৬৬ সালে ৬ দফা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করেছি। বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ ১ আসনে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। আমি  বিএনপির সাবেক মহাসচিব প্রয়াত খন্দকার দেলোয়ার হোসেনকে প্রায় ৪৫ হাজার ভোটে পরাজিত করে ২০০৮ সালে এমপি নির্বাচিত হই। এলাকার জনগণ দেখেছে আমি ৫ বছরে কি পরিমাণ উন্নয়ন করেছি। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি আমার বছরে ঘিওর দৌলতপুর এবং শিবালয়ের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোন নিয়োগ বানিজ্য হয়নি। গ্রামে গ্রামে অসংখ্য মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান, ঈদগাহ মাঠ নির্মাণ করেছিলাম। এখনো ৩টি উপজেলার সাধারণ জনগণের সাথে রয়েছে আমার ব্যাপক যোগাযোগ। দল এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে মনোনয়ন দেন তাহলে আমি আমার শেষ বয়সে মানিকগঞ্জ ১ আসনকে বাংলাদেশের একটি রোল মডেল হিসেবে গড়ে তুলবো। জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনিমার্নে নিরলসভাবে দলের প্রতিটি কর্মকান্ডে অগ্রনী ভূমিকা পালন করবো।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads